2020

What is sherlock tool?

 সহজ কথায় এটি এমন এক tools যা  ব্যবহারকারীর  ইউজার নাম নেয় এবং ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ইত্যাদির মতো অনেক সাইটে তাদের ব্যবহারকারীর নাম অনুসন্ধান করে এবং যেখানেই এটি খুঁজে পায় তাদের প্রোফাইলের লিঙ্কটি দেখায়।


 পথমে আপনার termux tools install থাকতে হবে । 
you have to install termux app and open it and follows the instructions below:-


Now use below command to install requirements for the sherlock tool.
 pip3 install -r requiremnts.txt 

Install and Use Sherlock tool for Android in Termux-2020


Step 7:
Use these below commands to install missing dependencies from termux.
 pip3 install requests requests_futures torrequest
 now this command will install all the missing modules.

Install and Use Sherlock tool for Android in Termux-2020



How to use sherlock tool in termux:


Basic Run:
Just type python space sherlock.py and put the username name you wanna scan for and hit enter and sit back and sherlock will scan on every site(which is available in the sherlock).
 python sherlock.py username
Please change the username with the username on which you wanna gather the information.


Install and Use Sherlock tool for Android in Termux-2020

Now you will get a link of social media if that username is registered on a particular site. if the username is not registered on the site then you will see Not found.

If you want to how you can change colors in termux read this blog[Hackers theme termux in 5 steps only]


Get only those website where username has registered:
Use below command to only print the website which has a link to this username.
 python sherlock.py username --print-found

Install and Use Sherlock tool for Android in Termux-2020


See the stored data:

Sherlock tool will store the data in text file.just type the ls command to se the text file.
 ls
Install and Use Sherlock tool for Android in Termux-2020

here you can see the anyname.txt file.


Use cat command to see the data inside the file,if you don't know the basic command of termux real this post everything is easily explained [termux basic commands]
 cat filename.txt

Install and Use Sherlock tool for Android in Termux-2020

Now you can see all the links that stored in the file created by the sherlock.


 

একটি কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার বা সফটওয়্যার সমূহকে অন্য এক বা একাধিক  কম্পিউটার শেয়ার করে ব্যবহার করার জন্য পরষ্পর সংযুক্ত হয়ে থাকে। এই সংযুক্ত হওয়ার সিস্টেমকেই কম্পিউটার নেটওয়ার্ক  বলে। 


কম্পিউটার সমূহের মাঝে সংযোগ ব্যবস্থা বিভিন্ন ভাবে হতে পারে।  যেমন ধরুন আপনার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এক ভবনের কম্পিউটারের সাথে অন্য ভবনের কম্পিউটার সমূহের মধ্যে সরাসরি তার বা ক্যবল দিয়ে সংযোগ প্রদান করা যায়। এটি নেটওয়ার্ক সংগযোগের একটি ব্যবস্থা বলতে পারেন।

কিন্তু অনেক সময় বিভিন্ন দূরত্বের কম্পিউটার সমূহের মাঝে সংযোগ স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। এক্ষেত্রে ক্যবল বা তার দিয়ে সংযোগ প্রদান করা সম্ভব হয় না। যেমন ধরেন একটি ব্যংকের বিভিন্ন শাখার কম্পইউটার সমূহের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করতে হয়। ঢাকা শাখার কম্পিউটারের সাথে সিলেট শাখার কম্পিউটারের সংযোগ স্থাপন করতে হলে, এত দূরত্বে সরাসরি তার বা ক্যবল দিয়ে সংযোগ করা সম্ভব নয়। কিন্তু টেলিফোন লাইন মডেম কিংবা স্যাটেলাইট ব্যবহার করে কম্পিউটার সমূহের মাঝে নেটওয়ার্ক স্থাপন করা যায়।

কম্পিউটার নেটওয়ার্ক  এর প্রকারভেদঃ

ব্যবহারকারী তথা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চাহিদা অনুযায়ী বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের নেটওয়ার্কের উৎপত্তি হয়েছে। যেমন ধরুনঃ-

মালিকানা ভিত্তিতেঃ

মালিকানা ভিত্তিতে নেটওয়ার্ক ২ প্রকার

 

প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (Private Network)

পাবলিক (Public Network)


টপোলজির ভিত্তিতেঃ

টপোলজির উপর ভিত্তি করে নেটওয়ার্ক প্রধানত চার প্রকারঃ

স্টার টপোলজি (Star Topology)

রিং টপোলজি (Ring Topology)

বাস টপোলজি (Bus Topology)

মেশ টপোলজি (Mesh Topology)


কার্যাবলির ভিত্তিতেঃ

কার্যাবলির বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে নেটওয়ার্ক কে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক (Per-to-Per Network)

ক্লায়েন্ট সার্ভার নেটওয়ার্ক(Client Server  Network)


কার্যক্ষেত্রের ভিত্তিতেঃ

কার্যক্ষেত্রের পরিধির উপর ভিত্তি করে নেটওয়ার্কে ৩ ভাগে ভাগ করা যায়

 

লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক(Local Area Network)

মেট্রোপলিটন এরিয়া নেটওয়ার্ক (Metropolitan Area Network)

ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক (Wide Area Network)

সুইচিং এর উপর ভিত্তি করেঃ

সুইচিং কৌশলের উপর ভিত্তি করে নেটওয়ার্কে ৩ ভাগে ভাগ করা হয়

সার্কিট সুইচ নেটওয়ার্ক (Circuit switched Network)

ম্যাসেজ সুইচ নেটওয়ার্ক (Message Switched Network)

প্যাকেট সুইচ নেটওয়ার্ক (Packet Switch Network)

নির্মাণ কৌশলের ভিত্তিতেঃ

নির্মান কৌশলের ভিত্তিতে নেটওয়ার্ক মূলত ২ প্রকার।

পয়েন্ট টু পয়েন্ট নেটওয়ার্ক (Point to Point Network)

ব্রডকাষ্ট বা মাল্টিপয়েন্ট নেটওয়ার্ক (Broadcast or Multipoint Network)



 



Common types of attacks performed of hacking.

01.Malware

02.Phishing

03.SQL Injection Attack

04.Cross-Site Scripting (XSS)

05.Denial of Service (DoS)

07.Session Hijacking and Man-in-the-Middle Attacks

08.Credential Reuse


01.Malware:

সহজভাবে বলতে গেলে এটি হল, কম্পিউটারের পক্ষে ক্ষতিকর যে কোনো প্রোগ্রাম। এটি অনেক প্রকারের হয়ে থাকেঃ Viruses, Trojans, rat ware, key loggers, zombie programs ইত্যাদি । এটি নানাভাবে কম্পিউটারের ক্ষতি করে থাকে। কম্পিউটারের নানা প্রোগ্রামকে ধ্বংস করে ফেলে। কম্পিউটারের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করে। কম্পিউটারের নিয়ন্ত্রণক্ষমতা জব্দ করে ফেলে।



ম্যালওয়্যার (Malware) – Malicious Software

ম্যালওয়্যার (Malware) হলো  Malicious Software এর সংক্ষিপ্ত রূপ। আমরা অধিকাংশ কম্পিউটার ব্যবহারকারী যেটাকে ভাইরাস হিসাবে মনে করি সেটাই আসলে ম্যালওয়্যার। এই ম্যালওয়্যার (Malware) – Malicious Software এর অনেকগুলো ফর্ম আছে। যাদের মধ্যে ভাইরাস, ওয়ার্ম, ট্রোজান, স্পাইওয়্যার সহ আরও অনেক কিছু রয়েছে। সাধারন ভাবে যে সমস্ত প্রোগ্রাম খারাপ মানুষিকতা থেকে অন্যদের ক্ষতিকরার জন্য তৈরী করে ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে দেওয়া হয় তাকেই ম্যালওয়্যার বলে। নিচে ম্যালওয়্যারের কিছু প্রকারভেদ দেখুন।


see more next time .


 


BACKDOOR:আমরা সাধারণত গ্রাম অঞ্চলের যেসব বাসাবাড়ি দেখতে পাই তাতে দুটো দরজা থাকে, front door and Backdoorসামনের দরজা এবং পিছনের দরজা। এবং প্রত্যেকটা দরকারি কিছু না কিছু কাজ থাকে। তেমনি কম্পিউটার সিস্টেম, বিভিন্ন রকম সফটওয়্যার,web script, WEB Software এ BACKDOOR থাকে।


BACKDOOR  মূলত Developers তেরি করে থাকে তাদের বিভিন উপকারের জন্য। কিছু কিছু ডেভেলপার তাদের ভুলেওর জন্য  করে থাকে ' যেমনঃ software update ,software modifier etc .কিন্তু hackers  রা সেই   BACKDOOR ব্যাবহার করে তাদের system এ access নেই/


what is backdoor ?

A backdoor is a typically covert method of bypassing normal authentication or encryption in a computer, product, embedded device, or its embodiment. Backdoor are most often used for securing remote access to a computer, or obtaining access to plain text in cryptographic systems.


Hacker Lexicon  মতে "A backdoor in software or a computer system is generally an undocumented portal that allows an administrator to enter the system to troubleshoot or do upkeep. But it also refers to a secret portal that hackers and intelligence agencies use to gain illicit access."


কীভাবে কাজ করে?

ব্যাকডোর গুলি সাধারণত ম্যালওয়ারের মাধ্যমে স্থাপন করা হয়। একটি ম্যালওয়্যার মডিউল ব্যাকডোর হিসাবে নিজেই কাজ করতে পারে বা এটি প্রথম সারির ব্যাকডোর হিসাবে কাজ করতে পারে, যার অর্থ এটি আসল আক্রমণ সম্পাদনের জন্য ডিজাইন করা অন্যান্য ম্যালওয়্যার মডিউলগুলি ডাউনলোড করার জন্য মঞ্চের প্ল্যাটফর্ম হিসাবে কাজ করে।


সনাক্তকরণ এবং প্রতিরোধ

ব্যাকডোরগুলি সনাক্ত করা খুব কঠিন হতে পারে এবং কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেমের উপর নির্ভর করে সনাক্তকরণের পদ্ধতিগুলি যথেষ্ট পরিবর্তিত হয়। কিছু ক্ষেত্রে, অ্যান্টিমালওয়্যার সফ্টওয়্যার ব্যাকডোর সফ্টওয়্যার সনাক্ত করতে সক্ষম হতে পারে। অন্যান্য ক্ষেত্রে, সুরক্ষা পেশাদারদের বাড়ির পিছনের দরজা সনাক্ত করতে বিশেষ সরঞ্জামগুলি ব্যবহার করার প্রয়োজন হতে পারে, বা নেটওয়ার্ক প্যাকেটগুলি পরিদর্শন করতে একটি প্রোটোকল পর্যবেক্ষণ সরঞ্জাম ব্যবহার করতে পারে।


ব্যাকডোর আক্রমণ এড়াতে বিভিন্ন কৌশলঃ

    ব্যাকডোর আক্রমণ এড়াতে বিভিন্ন কৌশল রয়েছে।

   01. প্রথম এবং সর্বাগ্রে, সংস্থাগুলিকে অনাস্থাযুক্ত সফ্টওয়্যার এড়ানো এবং প্রতিটি ডিভাইস ফায়ারওয়াল দ্বারা সুরক্ষিত রয়েছে তা নিশ্চিতকরন। 

  02.অ্যাপ্লিকেশন ফায়ারওয়ালগুলি ব্যাকডোর আক্রমণগুলি রোধ করতেও সহায়তা করতে পারে এমন system use করা।

  03.সার্বক্ষণিক  জন্য নেটওয়ার্ক ট্র্যাফিক নিরীক্ষণ করা/

 


sourse : Wikipedia 

         2backdoor (computing)

         3.Hacker Lexicon






  

 


Personal Area Network

A Personal Area Network (PAN) is smallest network which is very personal to a user. This may include Bluetooth enabled devices or infra-red enabled devices. PAN has connectivity range up to 10 meters. PAN may include wireless computer keyboard and mouse, Bluetooth enabled headphones, wireless printers and TV remotes.

Personal Area Network

For example, Piconet is Bluetooth-enabled Personal Area Network which may contain up to 8 devices connected together in a master-slave fashion.

Local Area Network

A computer network spanned inside a building and operated under single administrative system is generally termed as Local Area Network (LAN). Usually,LAN covers an organization’ offices, schools, colleges or universities. Number of systems connected in LAN may vary from as least as two to as much as 16 million.

LAN provides a useful way of sharing the resources between end users.The resources such as printers, file servers, scanners, and internet are easily sharable among computers.

Local Area Network

LANs are composed of inexpensive networking and routing equipment. It may contains local servers serving file storage and other locally shared applications. It mostly operates on private IP addresses and does not involve heavy routing. LAN works under its own local domain and controlled centrally.

LAN uses either Ethernet or Token-ring technology. Ethernet is most widely employed LAN technology and uses Star topology, while Token-ring is rarely seen.

LAN can be wired,wireless, or in both forms at once.

Metropolitan Area Network

The Metropolitan Area Network (MAN) generally expands throughout a city such as cable TV network. It can be in the form of Ethernet,Token-ring, ATM, or Fiber Distributed Data Interface (FDDI).

Metro Ethernet is a service which is provided by ISPs. This service enables its users to expand their Local Area Networks. For example, MAN can help an organization to connect all of its offices in a city.

Metropolitan Area Network

Backbone of MAN is high-capacity and high-speed fiber optics. MAN works in between Local Area Network and Wide Area Network. MAN provides uplink for LANs to WANs or internet.

Wide Area Network

As the name suggests,the Wide Area Network (WAN) covers a wide area which may span across provinces and even a whole country. Generally, telecommunication networks are Wide Area Network. These networks provide connectivity to MANs and LANs. Since they are equipped with very high speed backbone, WANs use very expensive network equipment.

Wide Area Network

WAN may use advanced technologies such as Asynchronous Transfer Mode (ATM), Frame Relay, and Synchronous Optical Network (SONET). WAN may be managed by multiple administration.

Internetwork

A network of networks is called an internetwork, or simply the internet. It is the largest network in existence on this planet.The internet hugely connects all WANs and it can have connection to LANs and Home networks. Internet uses TCP/IP protocol suite and uses IP as its addressing protocol. Present day, Internet is widely implemented using IPv4. Because of shortage of address spaces, it is gradually migrating from IPv4 to IPv6.

Internet enables its users to share and access enormous amount of information worldwide. It uses WWW, FTP, email services, audio and video streaming etc. At huge level, internet works on Client-Server model.

Internet uses very high speed backbone of fiber optics. To inter-connect various continents, fibers are laid under sea known to us as submarine communication cable.

Internet is widely deployed on World Wide Web services using HTML linked pages and is accessible by client software known as Web Browsers. When a user requests a page using some web browser located on some Web Server anywhere in the world, the Web Server responds with the proper HTML page. The communication delay is very low.

Internet is serving many proposes and is involved in many aspects of life. Some of them are:

  • Web sites
  • E-mail
  • Instant Messaging
  • Blogging
  • Social Media
  • Marketing
  • Networking
  • Resource Sharing
  • Audio and Video Streaming



Hi  i'm boniyeamin laju.In this tutorial, you will know to How to connect wordpress in cPanel ?


In this video you will learn how to connect WordPress in cPanel 2020. If you want to learn how to Install WordPress cPanel via softaculous than this video is best for you. 




 



Hi ,I am boni yeamin laju.

In this tutorial, you will know to How to Upload a File in cPanel File Manager.

This article will explain how to upload files through the cPanel. It will also give a basic explanation of where to upload your content. However, before we start this article we want to make it clear that Name.com is not able to assist with coding or content related issues. Your site configuration may require you to place your files in different directories than this guide describes. If you need further assistance with where or how to upload your content after viewing this article, you will want to consult a web developer for assistance.Uploading Files Through the cPanel.


 1. First step:

           login to your cPanel 

2. 2nd step:

         Your primary domain's content should be placed in the public_html directory. To see this directory, open up your File Manager and click the public_html directory.





 কাজী নজরুল ইসলাম, বাঙালি কবি, সঙ্গীতজ্ঞ, দার্শনিক, যিনি বাংলা কাব্যে অগ্রগামী  ভূমিকার জন্য সর্বাধিক পরিচিত। বাংলা ভাষার অন্যতম সাহিত্যিক, দেশপ্রেমী এবং  বাংলাদেশের জাতীয় কবি। পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ - দুই বাংলাতেই তাঁর কবিতা ও গান  সমানভাবে সমাদৃত। তাঁর কবিতায় বিদ্রোহী দৃষ্টিভঙ্গির কারণে তাঁকে বিদ্রোহী কবি বলা হয়।  তার কবিতার মূল বিষয়বস্তু ছিল মানুষের প্রতি মানুষের অত্যাচার এবং দাসত্বের বিরুদ্ধে  সোচ্চার প্রতিবাদ। বাংলা মননে কাজী নজরুল ইসলামের মর্যাদা ও গুরুত্ব অপরিসীম।  একাধারে কবি, সাহিত্যিক, সংগীতজ্ঞ, সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ এবং সৈনিক হিসেবে অন্যায়  ও অবিচারের বিরুদ্ধে নজরুল সর্বদাই ছিলেন সোচ্চার। তাঁর কবিতা ও গানে এই মনোভাবই  প্রতিফলিত হয়েছে। অগ্নিবীণা হাতে তাঁর প্রবেশ, ধূমকেতুর মতো তাঁর প্রকাশ। যেমন লেখাতে  বিদ্রোহী, তেমনই জীবনে - কাজেই "বিদ্রোহী কবি"।


______________________________________________________________________

______________________________________________________________________

কাজী নজরুল ইসলাম

______________________________________________________________________

______________________________________________________________________

জন্ম ও প্রাথমিক জীবন

১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দের ২৪মে (১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ই জ্যৈষ্ঠ) ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান  জেলার আসানসোল মহকুমার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন কাজী নজরুল ইসলাম।  পিতামহ কাজী আমিনউল্লাহর পুত্র কাজী ফকির আহমদের দ্বিতীয়া পত্নী জাহেদা খাতুনের ষষ্ঠ  সন্তান তিনি। তার বাবা ছিলেন স্থানীয় এক মসজিদের ইমাম। কাজী নজরুল ইসলামের ডাক  নাম ছিল "দুখু মিয়া"।

তিনি স্থানীয় মক্তবে কুরআন, ইসলাম ধর্ম , দর্শন এবং ইসলামী  ধর্মতত্ত্ব অধ্যয়ন শুরু করেন। ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দে যখন তার পিতার মৃত্যু হয়, তখন তার বয়স  মাত্র নয় বছর। পারিবারিক অভাব অনটনের কারণে তাঁর শিক্ষা বাধাগ্রস্থ হয় এবং মাত্র দশ  বছর বয়সে তাকে নেমে যেতে হয় জীবিকা অর্জ্জনে। এসময় নজরুল মক্তব থেকে নিম্ন  মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে উক্ত মক্তবেই শিক্ষকতা শুরু করেন। একই সাথে হাজী  পালোয়ানের কবরের সেবক এবং মসজিদের মুয়াজ্জিন হিসেবে কাজ শুরু করেন। এইসব  কাজের মাধ্যমে তিনি অল্প বয়সেই ইসলাম ধর্মের মৌলিক আচার অনুষ্ঠানের সাথে  ঘনিষ্ঠভাবে পরিচিত হবার সুযোগ পান যা তার পরবর্তী সাহিত্যকর্মকে বিপুলভাবে প্রভাবিত  করেছে। তিনিই বাংলা সাহিত্যে ইসলামী চেতনার চর্চা শুরু করেছেন বলা যায়।

______________________________________________________________________

______________________________________________________________________

তরুণ নজরুল

______________________________________________________________________

______________________________________________________________________

 

মক্তব, মসজিদ ও মাজারের কাজে নজরুল বেশি দিন ছিলেননা। বাল্য বয়সেই লোকশিল্পের  প্রতি আকৃষ্ট হয়ে একটি লেটো (বাংলার রাঢ় অঞ্চলের কবিতা, গান ও নৃত্যের মিশ্র আঙ্গিক  চর্চার ভ্রাম্যমান নাট্যদল) দলে যোগ দেন। তার চাচা কাজী বজলে করিম চুরুলিয়া অঞ্চলের  লেটো দলের বিশিষ্ট ওস্তাদ ছিলেন এবং আরবি, ফারসি ও উর্দূ ভাষায় তার দখল ছিল। এছাড়া  বজলে করিম মিশ্র ভাষায় গান রচনা করতেন। ধারণা করা হয় বজলে করিমের প্রভাবেই  নজরুল লেটো দলে যোগ দিয়েছিলেন। লেটো দলেই সাহিত্য চর্চা শুরু হয়। এই দলের সাথে  তিনি বিভিন্ন স্থানে যেতেন, তাদের সাথে অভিনয় শিখতেন এবং তাদের নাটকের জন্য গান ও  কবিতা লিখতেন। নিজ কর্ম ববং অভিজ্ঞতার আলোকে তিনি বাংলা এবং সংস্কৃত সাহিত্য  অধ্যয়ন শুরু করেন। একইসাথে হিন্দু ধর্মগ্রন্থ অর্থাৎ পুরাণসমূহ অধ্যয়ন করতে থাকেন।  সেই অল্প বয়সেই তার নাট্যদলের জন্য বেশকিছু লোকসঙ্গীত রচনা করেন। এর মধ্যে রয়েছে  চাষার সঙ, শকুনীবধ, রাজা যুধিষ্ঠিরের সঙ, দাতা কর্ণ, আকবর বাদশাহ, কবি কালিদাস,  বিদ্যাভূতুম, রাজপুত্রের গান, বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ এবং মেঘনাদ বধ। একদিকে  মসজিদ, মাজার ও মক্তব জীবন, অপর দিকে লেটো দলের বিচিত্র অভিজ্ঞতা নজরুলের  সাহিত্যিক জীবনের অনেক উপাদান সরবরাহ করেছে।নজরুল কালীদেবিকে নিয়ে প্রচুর শ্যামা  সঙ্গিত ও রচনা করেন , নজরুল তার শেষ ভাষনে উল্লেখ্য করেন - “ কেউ বলেন আমার  বানী যবন কেউ বলেন কাফের। আমি বলি ও দুটোর কোনটাই না। আমি শুধু হিন্দু মুসলিম  কে এক জায়গায় ধরে নিয়ে হ্যান্ডশেক করানোর চেষ্টা করেছি, গালাগালি কে গলাগলি তে  পরিণত করার চেষ্টা করেছি। ”

 

১৯১০ সালে নজরুল লেটো দল ছেড়ে ছাত্র জীবনে ফিরে আসেন। লেটো দলে তার প্রতিভায়  সকলেই যে মুগ্ধ হয়েছিল তার প্রমাণ নজরুল লেটো ছেড়ে আসার পর তাকে নিয়ে অন্য  শিষ্যদের রচিত গান:

 

"আমরা এই অধীন, হয়েছি ওস্তাদহীন / ভাবি তাই নিশিদিন, বিষাদ  মনে / নামেতে নজরুল ইসলাম, কি দিব গুণের প্রমাণ"।

 

এই নতুন ছাত্রজীবনে তার প্রথম  স্কুল ছিল রানীগঞ্জের সিয়ারসোল রাজ স্কুল| এর পর ভর্তি হন মাথরুন উচ্চ ইংরেজি স্কুলে যা  পরবর্তীতে নবীনচন্দ্র ইনস্টিটিউশন নামে পরিচিতি লাভ করে। মাথরুন স্কুলের তৎকালীন  প্রধান শিক্ষক ছিলেন কুমুদরঞ্জন মল্লিক যিনি সেকালের বিখ্যাত কবি হিসেবেও পরিচিত  ছিলেন। তার সান্নিধ্য নজরুলের অনুপ্রেরণার একটি উৎস। কুমুদরঞ্জন স্মৃতিচারণ করতে যেয়ে  নজরুল সম্বন্ধে লিখেছেন,

 

“ ছোট সুন্দর ছনমনে ছেলেটি, আমি ক্লাশ পরিদর্শন করিতে গেলে সে আগেই  প্রণাম করিত। আমি হাসিয়া তাহাকে আদর করিতাম। সে বড় লাজুক ছিল। ”

 

আর্থিক সমস্যা তাকে বেশী দিন এখানে পড়াশোনা করতে দেয়নি। ষষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত পড়ার পর  তাকে আবার কাজে ফিরে যেতে হয়। প্রথমে যোগ দেন বাসুদেবের কবিদলে। এর পর একজন  খ্রিস্টান রেলওয়ে গার্ডের খানসামা এবং সবশেষে আসানসোলের চা-রুটির দোকানে রুটি  বানানোর কাজ নেন। এভাবে বেশ কষ্টের মাঝেই তার বাল্য জীবন অতিবাহিত হতে থাকে।  এই দোকানে কাজ করার সময় আসানসোলের দারোগা রফিজউল্লাহ'র' সাথে তার পরিচয়  হয়। দোকানে একা একা বসে নজরুল যেসব কবিতা ও ছড়া রচনা করতেন তা দেখে  রফিজউল্লাহ তার প্রতিভার পরিচয় পান। তিনিই নজরুলকে ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দে ময়মনসিংহ  জেলার ত্রিশালের দরিরামপুর স্কুলে সপ্তম শ্রেণীতে ভর্তি করে দেন। ১৯১৫ খ্রিস্টাব্দে তিনি  আবার রানীগঞ্জের সিয়ারসোল রাজ স্কুলে ফিরে যান এবং সেখানে অষ্টম শ্রেণী থেকে  পড়াশোনা শুরু করেন। ১৯১৭ সাল পর্যন্ত এখানেই পড়াশোনা করেন। ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দের  শেষদিকে মাধ্যমিকের প্রিটেস্ট পরীক্ষার না দিয়ে তিনি সেনাবাহিনীতে সৈনিক হিসেবে যোগ  দেন।

______________________________________________________________________

______________________________________________________________________

সেনাবাহিনীতে নজরুল

______________________________________________________________________

______________________________________________________________________

সৈনিক জীবন

১৯১৭ খ্রিস্টাব্দের শেষদিকে নজরুল সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। প্রথমে কলকাতার ফোর্ট  উইলিয়ামে এবং পরবর্তীতে প্রশিক্ষণের জন্য সীমান্ত প্রদেশের নওশেরায় যান। প্রশিক্ষণ শেষে  করাচি সেনানিবাসে সৈনিক জীবন কাটাতে শুরু করেন। তিনি সেনাবাহিনীতে ছিলেন ১৯১৭  খ্রিস্টাব্দের শেষভাগ থেকে ১৯২০ খ্রিস্টাব্দের মার্চ-এপ্রিল পর্যন্ত, অর্থাৎ প্রায় আড়াই বছর।  এই সময়ের মধ্যে তিনি ৪৯ বেঙ্গল রেজিমেন্টের সাধারণ সৈনিক থেকে কোয়ার্টার মাস্টার  হাবিলদার পর্যন্ত হয়েছিলেন। উক্ত রেজিমেন্টের পাঞ্জাবী মৌলবির কাছে তিনি ফারসি ভাষা  শিখেন। এছাড়া সহসৈনিকদের সাথে দেশী-বিদেশী বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র সহযোগে সঙ্গীতের চর্চা  অব্যাহত রাখেন, আর গদ্য-পদ্যের চর্চাও চলতে থাকে একই সাথে। করাচি সেনানিবাসে বসে  নজরুল যে রচনাগুলো সম্পন্ন করেন তার মধ্যে রয়েছে, বাউণ্ডুলের আত্মকাহিনী (প্রথম গদ্য  রচনা), মুক্তি (প্রথম প্রকাশিত কবিতা); গল্প: হেনা, ব্যথার দান, মেহের নেগার, ঘুমের  ঘোরে, কবিতা সমাধি ইত্যাদি। এই করাচি সেনানিবাসে থাকা সত্ত্বেও তিনি কলকাতার বিভিন্ন  সাহিত্য পত্রিকার গ্রাহক ছিলেন। এর মধ্যে রয়েছে প্রবাসী, ভারতবর্ষ, ভারতী, মানসী,  মর্ম্মবাণী, সবুজপত্র, সওগাত এবং বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য পত্রিকা। এই সময় তার কাছে  রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এবং ফারসি কবি হাফিজের কিছু বই ছিল। এ সূত্রে  বলা যায় নজরুলের সাহিত্য চর্চার হাতেখড়ি এই করাচি সেনানিবাসেই। সৈনিক থাকা  অবস্থায় তিনি প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অংশ নেন। এ সময় নজরুলের বাহিনীর ইরাক যাবার কথা  ছিল। কিন্তু যুদ্ধ থেমে যাওয়ায় আর যাননি। ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে যুদ্ধ শেষ হলে ৪৯ বেঙ্গল  রেজিমেন্ট ভেঙে দেয়া হয়। এর পর তিনি সৈনিক জীবন ত্যাগ করে কলকাতায় ফিরে  আসেন।

 

সাংবাদিক জীবন ও বিয়ে

যুদ্ধ শেষে কলকাতায় এসে নজরুল ৩২ নং কলেজ স্ট্রিটে বঙ্গীয় মুসলিম সাহিত্য সমিতির  অফিসে বসবাস শুরু করেন। এখান থেকেই তার সাহিত্য-সাংবাদিকতা জীবনের মূল  কাজগুলো শুরু হয়। প্রথম দিকেই মোসলেম ভারত, বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য পত্রিকা,  উপাসনা প্রভৃতি পত্রিকায় তার কিছু লেখা প্রকাশিত হয়। এর মধ্যে রয়েছে উপন্যাস বাঁধন  হারা এবং কবিতা বোধন, শাত-ইল-আরব, বাদল প্রাতের শরাব, আগমনী, খেয়া-পারের  তরণী, কোরবানি, মোহরর্‌ম, ফাতেহা-ই-দোয়াজ্‌দম্‌। এই লেখাগুলো সাহিত্য ক্ষেত্রে  বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়। এর প্রেক্ষিতে কবি ও সমালোচক মোহিতলাল মজুমদার মোসলেম  ভারত পত্রিকায় তার খেয়া-পারের তরণী এবং বাদল প্রাতের শরাব কবিতা দুটির প্রশংসা করে  একটি সমালোচনা প্রবন্ধ লিখেন। এ থেকেই দেশের বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও সমালোচকদের  সাথে নজরুলের ঘনিষ্ঠ পরিচয় শুরু হয়। বঙ্গীয় মুসলিম সাহিত্য সমিতির অফিসে কাজী  মোতাহার হোসেন, মোজাম্মেল হক, কাজী আবদুল ওদুদ, মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্‌, আফজালুল  হক প্রমুখের সাথে পরিচয় হয়। তৎকালীন কলকাতার দুটি জনপ্রিয় সাহিত্যিক আসর  গজেনদার আড্ডা এবং ভারতীয় আড্ডায় অংশগ্রহণের সুবাদে পরিচিত হন অতুলপ্রসাদ সেন,  অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত, প্রেমাঙ্কুর আতর্থী, শিশির ভাদুড়ী, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়,  নির্মেলন্দু লাহিড়ী, ধুর্জটিপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, হেমেন্দ্রকুমার রায়, দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর, চারুচন্দ্র  বন্দ্যোপাধ্যায়, ওস্তাদ করমতুল্লা খাঁ প্রমুখের সাথে। ১৯২১ সালের অক্টোবর মাসে তিনি  শান্তিনিকেতনে যেয়ে রবীন্দ্রনাথের সাথে সাক্ষাৎ করেন। তখন থেকে রবীন্দ্রনাথের মৃত্যু পর্যন্ত  তাদের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় ছিল। কাজী মোতাহার হোসেনের সাথে নজরুলের বিশেষ বন্ধুত্ব  গড়ে উঠে।

 

১৯২০ খ্রিস্টাব্দের জুলাই ১২ তারিখে নবযুগ নামক একটি সান্ধ্য দৈনিক পত্রিকা প্রকাশিত  হওয়া শুরু করে। অসহযোগ ও খিলাফত আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে প্রকাশিত এই পত্রিকার  সম্পাদক ছিলেন শেরে-বাংলা এ.কে. ফজলুল হক। এই পত্রিকার মাধ্যমেই নজরুল নিয়মিত  সাংবাদিকতা শুরু করেন। ঐ বছরই এই পত্রিকায় "মুহাজিরীন হত্যার জন্য দায়ী কে?"  শিরোনামে একটি প্রবন্ধ লিখেন যার জন্য পত্রিকার জামানত বাজেয়াপ্ত করা হয় এবং  নজরুলের উপর পুলিশের নজরদারী শুরু হয়। সাংবাদিকতার মাধ্যমে তিনি তৎকালীন  রাজনৈতিক ও সামাজিক অবস্থা প্রত্যক্ষ করার সুযোগ পান। একইসাথে মুজফ্‌ফর আহমদের  সাথে বিভিন্ন রাজনৈতিক সভা-সমিতিতে যোগদানের মাধ্যমে রাজনীতি বিষয়ে প্রত্যক্ষ  অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ পেয়েছিলেন। বিভিন্ন ছোটখাটো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কবিতা ও  সঙ্গীতের চর্চাও চলছিল একাধারে। সওগাত পত্রিকার ১৩২৭ বঙ্গাব্দের বৈশাখ সংখ্যায় তার  প্রথম গান প্রকাশিত হয়। গানটি ছিল: "বাজাও প্রভু বাজাও ঘন"।

 

১৯২১ সালের এপ্রিল-জুন মাসের দিকে নজরুল মুসলিম সাহিত্য সমিতির অফিসে গ্রন্থ  প্রকাশক আলী আকবর খানের সাথে পরিচিত হন। তার সাথেই তিনি প্রথম কুমিল্লার  বিরজাসুন্দরী দেবীর বাড়িতে আসেন। আর এখানেই পরিচিত হন প্রমীলা দেবীর সাথে যার  সাথে তার প্রথমে পরিণয় ও পরে বিয়ে হয়েছিল। তবে এর আগে নজরুলের বিয়ে ঠিক হয়  আলী আকবর খানের ভগ্নী নার্গিস আসার খানমের সাথে। বিয়ের আখত সম্পন্ন হবার পরে  কাবিনের নজরুলের ঘর জামাই থাকার শর্ত নিয়ে বিরোধ বাধে। নজরুল ঘর জামাই থাকতে  অস্বীকার করেন এবং বাসর সম্পন্ন হবার আগেই নার্গিসকে রেখে কুমিল্লা শহরে বিরজাসুন্দরী  দেবীর বাড়িতে চলে যান। তখন নজরুল খুব অসুস্থ ছিলেন এবং প্রমিলা দেবী নজরুলের  পরিচর্যা করেন। এক পর্যায়ে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।

______________________________________________________________________

______________________________________________________________________

১৯৪০ সালে ৪২ বছর বয়সী নজরুল

______________________________________________________________________

______________________________________________________________________

বিদ্রোহী নজরুল

তখন দেশজুড়ে অসহযোগ আন্দোলন বিপুল উদ্দীপনার সৃষ্টি করে। নজরুল কুমিল্লা থেকে  কিছুদিনের জন্য দৌলতপুরে আলী আকবর খানের বাড়িতে থেকে আবার কুমিল্লা ফিরে যান  ১৯ জুনে। এখানে যতদিন ছিলেন ততদিনে তিনি পরিণত হন একজন সক্রিয় রাজনৈতিক  কর্মীতে। তার মূল কাজ ছিল শোভাযাত্রা ও সভায় যোগ দিয়ে গান গাওয়া। তখনকার সময়ে  তার রচিত ও সুরারোপিত গানগুলির মধ্যে রয়েছে "এ কোন পাগল পথিক ছুটে এলো বন্দিনী  মার আঙ্গিনায়, আজি রক্ত-নিশি ভোরে/ একি এ শুনি ওরে/ মুক্তি-কোলাহল বন্দী-শৃঙ্খলে"  প্রভৃতি। এখানে ১৭ দিন থেকে তিনি স্থান পরিবর্তন করেছিলেন। ১৯২১ খ্রিস্টাব্দের নভেম্বর  মাসে আবার কুমিল্লায় ফিরে যান। ২১ নভেম্বর ছিল সমগ্র ভারতব্যাপী হরতাল। এ উপলক্ষে  নজরুল আবার পথে নেমে আসেন; অসহযোগ মিছিলের সাথে শহর প্রদক্ষিণ করেন আর  গান করেন, "ভিক্ষা দাও! ভিক্ষা দাও! ফিরে চাও ওগো পুরবাসী"।

নজরুলের এ সময়কার  কবিতা, গান ও প্রবন্ধের মধ্যে বিদ্রোহের ভাব প্রকাশিত হয়েছে। এর সর্বোৎকৃষ্ট উদাহরণ  হচ্ছে বিদ্রোহী নামক কবিতাটি। বিদ্রোহী কবিতাটি ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয় এবং সারা  ভারতের সাহিত্য সমাজে খ্যাতিলাভ করে।।

১৯২২ খ্রিস্টাব্দের ১২ই আগস্ট নজরুল ধূমকেতু পত্রিকা প্রকাশ করে। এটি সপ্তাহে দুবার  প্রকাশিত হতো। ১৯২০-এর দশকে অসহযোগ ও খিলাফত আন্দোলন এক সময় ব্যর্থতায়  পর্যবসিত হয়। এর পরপর স্বরাজ গঠনে যে সশস্ত্র বিপ্লববাদের আবির্ভাব ঘটে তাতে ধূমকেতু  পত্রিকার বিশেষ অবদান ছিল। এই পত্রিকাকে আশীর্বাদ করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছিলেন,

 

কাজী নজরুল ইসলাম কল্যাণীয়েষু, আয় চলে আয়রে ধূমকেতু।

আঁধারে বাঁধ অগ্নিসেতু, দুর্দিনের এই দুর্গশিরে উড়িয়ে দে তোর বিজয় কেতন।

 

পত্রিকার প্রথম পাতার শীর্ষে এই বাণী লিখা থাকতো। পত্রিকার ২৬ সেপ্টেম্বর, ১৯২২ সংখ্যায়  নজরুলের কবিতা আনন্দময়ীর আগমনে প্রকাশিত হয়। এই রাজনৈতিক কবিতা প্রকাশিত  হওয়ায় ৮ নভেম্বর পত্রিকার উক্ত সংখ্যাটি নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়। একই বছরের ২৩ নভেম্বর  তার যুগবাণী প্রবন্ধগ্রন্থ বাজেয়াপ্ত করা হয় এবং একই দিনে তাকে কুমিল্লা থেকে গ্রেফতার  করা হয়। গ্রেফতারের পর তাকে কুমিল্লা থেকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দের  ৭ জানুয়ারি নজরুল বিচারাধীন বন্দী হিসেবে আত্মপক্ষ সমর্থন করে এক জবানবন্দী প্রদান  করেন। চিফ প্রেসিডেন্সি ম্যাজিস্ট্রেট সুইনহোর আদালতে এই জবানবন্দী দিয়েছিলেন। তার  এই জবানবন্দী বাংলা সাহিত্যে রাজবন্দীর জবানবন্দী নামে বিশেষ সাহিত্যিক মর্যাদা লাভ  করেছে। এই জবানবন্দীতে নজরুল বলেছেন:

“     

আমার উপর অভিযোগ, আমি রাজবিদ্রোহী। তাই আমি আজ রাজকারাগারে বন্দি এবং  রাজদ্বারে অভিযুক্ত।... আমি কবি,আমি অপ্রকাশ সত্যকে প্রকাশ করার জন্য, অমূর্ত সৃষ্টিকে  মূর্তিদানের জন্য ভগবান কর্তৃক প্রেরিত। কবির কণ্ঠে ভগবান সাড়া দেন, আমার বাণী সত্যের  প্রকাশিকা ভগবানের বাণী। সেবাণী রাজবিচারে রাজদ্রোহী হতে পারে, কিন্তু ন্যায়বিচারে সে  বাণী ন্যায়দ্রোহী নয়, সত্যাদ্রোহী নয়। সত্যের প্রকাশ নিরুদ্ধ হবে না। আমার হাতের ধূমকেতু  এবার ভগবানের হাতের অগ্নি-মশাল হয়ে অন্যায় অত্যাচার দগ্ধ করবে...।

১৬ জানুয়ারি বিচারের পর নজরুলকে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।  নজরুলকে আলিপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। এখানে যখন বন্দী জীবন  কাটাচ্ছিলেন তখন (১৯২৩ খ্রিস্টাব্দের জানুয়ারি ২২) বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ তার বসন্ত  গীতিনাট্য গ্রন্থটি নজরুলকে উৎসর্গ করেন। এতে নজরুল বিশেষ উল্লসিত হন। এই আনন্দে  জেলে বসে আজ সৃষ্টি সুখের উল্লাসে কবিতাটি রচনা করেন।

______________________________________________________________________

______________________________________________________________________

বৃদ্ধ কাজী নজরুল ইসলাম

______________________________________________________________________

______________________________________________________________________

অসুস্থতা

নবযুগে সাংবাদিকতার পাশাপাশি নজরুল বেতারে কাজ করছিলেন। এমন সময়ই অর্থাৎ  ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েস। এতে তিনি বাকশক্তি হারিয়ে ফেলেন। তার  অসুস্থতা সম্বন্ধে সুষ্পষ্টরুপে জানা যায় ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দের জুলাই মাসে। এরপর তাকে মূলত  হোমিওপ্যাথি এবং আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা করানো হয়। কিন্তু এতে তার অবস্থার তেমন কোন  উন্নতি হয়নি। সেই সময় তাকে ইউরোপে পাঠানো সম্ভব হলে নিউরো সার্জারি করা হত। কিন্তু  দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে তা সম্ভব হয়ে উঠেনি। ১৯৪২ সালের শেষের দিকে তিনি মানসিক  ভারসাম্যও হারিয়ে ফেলেন। এরপর নজরুল পরিবার ভারতে নিভৃত সময় কাটাতে থাকে।  ১৯৫২ সাল পর্যন্ত তারা নিভৃতে ছিলেন। ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে কবি ও কবিপত্নীকে রাঁচির এক  মানসিক হাসপাতালে পাঠানো হয়। এই উদ্যোগে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিল নজরুলের  আরোগ্যের জন্য গঠিত একটি সংগঠন যার নাম ছিল নজরুল চিকিৎসা কমিটি। এছাড়া  তৎকালীন ভারতের বিখ্যাত রাজনীতিবিদ শ্যামা প্রসাদ মুখার্জি সহযোগিতা করেছিলেন। কবি  চার মাস রাঁচিতে ছিলেন। এরপর ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দের মে মাসে নজরুল ও প্রমীলা দেবীকে  চিকিৎসার জন্য লন্ডন পাঠানো হয়। ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দের ২৭ ডিসেম্বর তারিখে কলকাতার  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকা ভিয়েনায় নজরুল নামে একটি প্রবন্ধ ছাপায় যার লেখক ছিলেন ডঃ  অশোক বাগচি। তিনি উচ্চ শিক্ষার জন্য ভিয়েনায় অবস্থান করছিলেন এবং নজরুলের  চিকিৎসা সম্বন্ধে প্রত্যক্ষ জ্ঞান অর্জন করেছিলেন। যাহোক, ব্রিটিশ চিকিৎসকরা নজরুলের  চিকিৎসার জন্য বড় অংকের ফি চেয়েছিল যেখানে ইউরোপের অন্য অংশের কোন  চিকিৎসকই ফি নেননি। অচিরেই নজরুল ইউরোপ থেকে দেশে ফিরে আসেন। এর পরপরই  পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ডঃ বিধান চন্দ্র রায় ভিয়েনা যান এবং ড. হ্যান্স হফের কাছে বিস্তারিত  শোনেন। নজরুলের সাথে যারা ইউরোপ গিয়েছিলেন তারা সবাই ১৯৫৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর  রোম থেকে দেশের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।

______________________________________________________________________

______________________________________________________________________

বৃদ্ধ কাজী নজরুল ইসলাম

______________________________________________________________________

______________________________________________________________________

বাংলাদেশে আগমন ও প্রয়াণ

১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বাঙালিদের বিজয় লাভের মাধ্যমে বাংলাদেশ  নামে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দের ২৪ মে তারিখে ভারত  সরকারের অনুমতিক্রমে কবি নজরুলকে সপরিবারে বাংলাদেশে নিয়ে আসা হয়। বাংলাদেশের  তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান এক্ষেত্রে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কবির বাকি  জীবন বাংলাদেশেই কাটে। বাংলা সাহিত্য এবং সংস্কৃতিতে তার বিশেষ অবদানের  স্বীকৃতিস্বরুপ ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দের ৯ ডিসেম্বর তারিখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তাকে সম্মানসূচক  ডি.লিট উপাধিতে ভূষিত করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সমাবর্তনে তাকে এই উপাধি প্রদান করা  হয়। ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দের জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশ সরকার কবিকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব  প্রদান করে। একই বছরের ২১ ফেব্রুয়ারিতে তাকে একুশে পদকে ভূষিত করা হয়। একুশে  পদক বাংলাদেশের সবচেয়ে সম্মানসূচক পদক হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। কাজী নজরুল  ইসলামকে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জাতীয় কবির মর্যাদা দেওয়া হয়। নজরুলের স্মৃতিবিজড়িত  ত্রিশালে (বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলায়) ২০০৫ সালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল  ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় নামক সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে কবির  জন্মস্থান চুরুলিয়ায় নজরুল অ্যাকাডেমি ও বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় কবির স্মৃতিতে  নজরুল একাডেমী, বুলবুল ললিতকলা একাডেমী ও বাংলাদেশ নজরুল সেনা স্থাপিত হয়।  কলকাতায় নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও মূল শহরের সংযোগকারী  প্রধান রাস্তাটি কবির নামে উৎসর্গ করে কাজী নজরুল ইসলাম সরণি করা হয়। এছাড়াও  কলকাতা মেট্রোর গড়িয়া বাজার স্টেশনটিকে কবির সম্মানে কবি নজরুল নামে উৎসর্গ করা  হয়েছে।

এরপর যথেষ্ট চিকিৎসা সত্ত্বেও নজরুলের স্বাস্থ্যের বিশেষ কোন উন্নতি হয়নি। ১৯৭৪  খ্রিস্টাব্দে কবির সবচেয়ে ছোট ছেলে এবং বিখ্যাত গিটার বাদক কাজী অনিরুদ্ধ মৃত্যুবরণ  করে। ১৯৭৬ সালে নজরুলের স্বাস্থ্যেরও অবনতি হতে শুরু করে। জীবনের শেষ দিনগুলো  কাটে ঢাকার পিজি হাসপাতালে। ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দের ২৯ আগস্ট তারিখে তিনি মৃত্যুবরণ  করেন। কবি তার একটি কবিতায় বলেছিলেন:

 

“ পূজিছে গ্রন্থ ভন্ডের দল মূর্খরা সব শোন/ মানুষ এনেছে গ্রন্থ, গ্রন্থ আনেনি মানুষ কোন ”

 

তিনি কালীদেবিকে নিয়ে অনেক শ্যামা সঙ্গিত রচনা করেন , ইসলামী গজলও রচনা করেন । নজরুল তার শেষ ভাষনে উল্লেখ্য করেছেন - কেউ বোলে আমা এই কবিতায় তার অন্তিম  ইচ্ছা প্রকাশ পেয়েছে। তার এই ইচ্ছার বিষয়টি বিবেচনা করে কবিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়  কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে সমাধিস্থ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় এবং সে অনুযায়ী তাঁর সমাধি  রচিত হয়। তার জানাজার নামাযে ১০ হাজারের মত মানুষ অংশ নেয়। জানাজা নামায  আদায়ের পর রাষ্ট্রপতি সায়েম, মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান, রিয়াল এডমিরাল এম  এইচ খান, এয়ার ভাইস মার্শাল এ জি মাহমুদ, মেজর জেনারেল দস্তগীর জাতীয় পতাকা  মন্ডিত নজরুলের মরদেহ সোহরাওয়ার্দী ময়দান থেকে বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদ প্রাঙ্গনে নিয়ে  যান। বাংলাদেশে তাঁর মৃত্যু উপলক্ষ্যে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় শোক দিবস পালিত হয়। আর  ভারতের আইনসভায় কবির সম্মানে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

______________________________________________________________________

______________________________________________________________________

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদের পাশে অন্তিম শয়নে কবি নজরুল ইসলাম

______________________________________________________________________

______________________________________________________________________

" মহা বিদ্রোহী রণ ক্লান্ত 

আমি সেইদিন হব শান্ত

যবে উতপীড়িতের ক্রন্দনরোল আকাশে বাতাসসে ধ্বনিবে না

অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ ভূমে রণিবে না

মহা বিদ্রোহী রণ ক্লান্ত

আমি সেইদিন হব শান্ত। "

______________________________________________________________________

______________________________________________________________________

এক নজরে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম।

* বিদ্রোহী কবির পুরো নাম - কবি কাজী নজরুল ইসলাম।

* জন্ম - ১১ই জৈষ্ঠ্য, ১৩০৬ (বাংলা), ২৪মে ১৮৯৯ (ইংরেজি)।

* জন্মস্থান - ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে।

* পিতার নাম - কাজী ফকীর আহম্মদ।

* মাতার নাম - মোসাম্মাৎ জাহেদা খাতুন।

* শিক্ষাকাল - প্রথমে গ্রামের মক্তব, পরে রানীগণ্জ সিয়ার-সোল হাই স্কুল, মাথরুন ইংরেজী উচ্চ বিদ্যালয়, দরিরামপুর উচ্চ বিদ্যালয়,(ত্রিশাল)।

* আশ্রয় দাতা - কাজী রফিজ উল্লাহ (তৎকালীন পুলিশ ইন্সপেক্টর)।

* কর্মস্থল -এস,রকসের চা-রুটির দোকান,প্রসাদপুর গার্ড সাহেবের বাসা, ৪৯ বাঙ্গালী পল্টন।

* বিয়ে - ২৫শে এপ্রিল, ১৯২৪ ইংরেজী।

* স্ত্রী'র নাম - প্রমীলা সেনগুপ্তা, ডা নাম- দুলী।

* কাজী নজরুল ইসলামের ডাক নাম - দুখু মিয়া।

* প্রমীলার জন্ম - ২৭শে বৈশাখ, ১৩১৫ বাংলা।

* কাজী নজরুল ইসলাম এর শ্বশুর - শ্রী বসন্ত কুমার সেনগুপ্ত।

* কাজী নজরুল ইসলাম এর শ্বাশুড়ী - শ্রীমতি গিরিবালা দেবী।

* কাজী নজরুল ইসলাম এর প্রথম সন্তান - অরিন্দম খালিদ ,ডাক নাম-বুলবুল।

* কাজী নজরুল ইসলাম এর কনিষ্ঠ পুত্র - কাজী অনিরুদ্ধ, ডাক নাম - লেনিন বা নিনি।

* সাহিত্য চর্চা কাল - ১৩২৬ হইতে ১৩৪৯ বাংলা।

* কাজী নজরুল ইসলাম এর প্রথম প্রকাশিত কবিতা - মুক্তি।

* প্রথম গল্প - বাউন্ডেলের আত্ম কাহিনী।

* প্রথম প্রবন্ধ - তুর্কী মহিলার ঘোমটা খোলা।

* প্রথম উপন্যাস - বাঁধন হারা।

* সর্বশ্রেষ্ঠ (সাধারণ মানুষের বিবেচনায়) কবিতা - বিদ্রোহী।

* কাজী নজরুল ইসলাম এর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ - ভাঙ্গার গান, অগ্নিবীণা, বিষের বাঁশী, চক্রবাক,রিক্তের বেদন, ব্যাথার দান, প্রলয় শিখা, আলেয়া প্রভূতি।

* বাল্য রচনা - মেঘনাদ বধ, চাষার সঙ, শুকনী বধ, দাতাকর্ণ রাজপুত্র, কবি কালিদাস, আকবর বাদশাহ প্রভূতি।

* কাজী নজরুল ইসলাম সম্পাদিত সাপ্তাহিক পত্রিকা - ধুমকেতু।

* ধুমকেতু'র প্রথম প্রকাশ - ১৭ই মে,১৯২৩ ইংরেজী।

* কাজী নজরুল ইসলাম অভিনীত প্রথম ছায়াছবি - ধ্রুব।

* নজরুল গীতির সংখ্যা - তিন হাজারের উপরে।

* জাতীয় খেতাব - 'জগত্তারিণী' ও 'পদ্মভূষণ'। ১৯৪৫ সালে কলিকাত বিশ্ববিদ্যালয় কাজী নজরুল ইসলামকে 'জগত্তারিণী' এবং ১৯৬০ সালে ভারত সরকার 'পদ্মভূষণ' স্বর্ণ পদকে সম্মানিত করেন। 

* মৃত্য বরণ - ২৯শে আগষ্ট, ১৯৭৬ ইংরেজী তারিখে ঢাকায় মৃত্য বরণ করেন।

 


 How to Use the Windows netstat Command to Discover Open and Connected  Network Ports - YouTube

Netstat – derived from the words network and statistics – is a command-line utility used by system administrators for analyzing network statistics. It displays a whole manner of statistics such as open ports and corresponding addresses on the host system, routing table, and masquerade connections.

In this article, we will walk you through how you can install netstat command in different Linux distributions.

How to Install netstat Command in Linux

The package that contains netstat is called net-tools. On modern systems, the netstat utility comes pre-installed and there’s no need to install it.

On older systems, however, you are likely to bump into an error when you run the netstat command. Therefore, to install netstat on Linux distributions, run the command.

# yum install net-tools     [On CentOS/RHEL]
# apt install net-tools     [On Debian/Ubuntu]
# zypper install net-tools  [On OpenSuse]
# pacman -S netstat-nat     [On Arch Linux]

Once installed, run the command below to check the version of netstat installed.

# netstat -v

How to Use netstat Command in Linux

You can invoke the netstat command on any of the Linux distributions to get different statistics on your network.

1. Viewing the Network Routing Table

You use the -r flag to show the network routing table to get something similar to the output below.

# netstat -nr
List Network Routing Table
List Network Routing Table

The -n option forces netstat to print addresses separated by dots instead of using symbolic network names. The option is useful for avoiding address lookups over a network.

2. Display Network Interface Statistics

Use the -i flag to get an output of statistics of a network interface that is configured. The -a option prints all present interfaces in the kernel.

# netstat -ai
List Network Interface Statistics
List Network Interface Statistics

3. Show Network Connections

The netstat command utility supports options that display active or passive sockets using the options -t-n, and -a. The flags show RAW, UDP, TCP, or UNIX connection sockets. Adding the -a option, it will sow sockets ready for connection.

# netstat -ant
List Network Connections
List Network Connections

4. Show Network Services

To list services, their current state, and their corresponding ports, run the command.

# netstat -pnltu
List Network Services
List Network Services

In this article, we shed light on how you can install netstat command and how it is used to checking a wide array of network statistics. It’s also important to point out that netstat has been deprecated and instead ss utility has taken its place in displaying more refined network statistics.




Boni yeamin laju

MKRdezign

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget