একটি কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার বা সফটওয়্যার সমূহকে অন্য এক বা একাধিক কম্পিউটার শেয়ার করে ব্যবহার করার জন্য পরষ্পর সংযুক্ত হয়ে থাকে। এই সংযুক্ত হওয়ার সিস্টেমকেই কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বলে।
কম্পিউটার সমূহের মাঝে সংযোগ ব্যবস্থা বিভিন্ন ভাবে হতে পারে। যেমন ধরুন আপনার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এক ভবনের কম্পিউটারের সাথে অন্য ভবনের কম্পিউটার সমূহের মধ্যে সরাসরি তার বা ক্যবল দিয়ে সংযোগ প্রদান করা যায়। এটি নেটওয়ার্ক সংগযোগের একটি ব্যবস্থা বলতে পারেন।
কিন্তু অনেক সময় বিভিন্ন দূরত্বের কম্পিউটার সমূহের মাঝে সংযোগ স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। এক্ষেত্রে ক্যবল বা তার দিয়ে সংযোগ প্রদান করা সম্ভব হয় না। যেমন ধরেন একটি ব্যংকের বিভিন্ন শাখার কম্পইউটার সমূহের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করতে হয়। ঢাকা শাখার কম্পিউটারের সাথে সিলেট শাখার কম্পিউটারের সংযোগ স্থাপন করতে হলে, এত দূরত্বে সরাসরি তার বা ক্যবল দিয়ে সংযোগ করা সম্ভব নয়। কিন্তু টেলিফোন লাইন মডেম কিংবা স্যাটেলাইট ব্যবহার করে কম্পিউটার সমূহের মাঝে নেটওয়ার্ক স্থাপন করা যায়।
কম্পিউটার নেটওয়ার্ক এর প্রকারভেদঃ
ব্যবহারকারী তথা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চাহিদা অনুযায়ী বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের নেটওয়ার্কের উৎপত্তি হয়েছে। যেমন ধরুনঃ-
মালিকানা ভিত্তিতেঃ
মালিকানা ভিত্তিতে নেটওয়ার্ক ২ প্রকার
প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (Private Network)
পাবলিক (Public Network)
টপোলজির ভিত্তিতেঃ
টপোলজির উপর ভিত্তি করে নেটওয়ার্ক প্রধানত চার প্রকারঃ
স্টার টপোলজি (Star Topology)
রিং টপোলজি (Ring Topology)
বাস টপোলজি (Bus Topology)
মেশ টপোলজি (Mesh Topology)
কার্যাবলির ভিত্তিতেঃ
কার্যাবলির বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে নেটওয়ার্ক কে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক (Per-to-Per Network)
ক্লায়েন্ট সার্ভার নেটওয়ার্ক(Client Server Network)
কার্যক্ষেত্রের ভিত্তিতেঃ
কার্যক্ষেত্রের পরিধির উপর ভিত্তি করে নেটওয়ার্কে ৩ ভাগে ভাগ করা যায়
লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক(Local Area Network)
মেট্রোপলিটন এরিয়া নেটওয়ার্ক (Metropolitan Area Network)
ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক (Wide Area Network)
সুইচিং এর উপর ভিত্তি করেঃ
সুইচিং কৌশলের উপর ভিত্তি করে নেটওয়ার্কে ৩ ভাগে ভাগ করা হয়
সার্কিট সুইচ নেটওয়ার্ক (Circuit switched Network)
ম্যাসেজ সুইচ নেটওয়ার্ক (Message Switched Network)
প্যাকেট সুইচ নেটওয়ার্ক (Packet Switch Network)
নির্মাণ কৌশলের ভিত্তিতেঃ
নির্মান কৌশলের ভিত্তিতে নেটওয়ার্ক মূলত ২ প্রকার।
পয়েন্ট টু পয়েন্ট নেটওয়ার্ক (Point to Point Network)
ব্রডকাষ্ট বা মাল্টিপয়েন্ট নেটওয়ার্ক (Broadcast or Multipoint Network)